হাংরি আন্দোলনের ব্যাপারটা আমার কাছে আজও এক আরোপিত প্রচেষ্টা মনে হয়। বিদেশের যে অ্যাংরি জেনারেশনের অনুকরণে হাংরির জন্ম, তার মূলে ছিল পশ্চিমি বৈভবের ফলে সব সহজে পেয়ে যাওয়ার এক মানসিক ক্লান্তি -- যার চূড়ান্ত প্রকাশ, 'মানি কান্ট বাই মি লাভ'-এ। সেই অ্যাঙ্গার ছড়িয়ে পড়েছিল সারা পশ্চিমি দুনিয়ায়। তারই ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ক্যাম্পাস রেভোলিউশনের জন্ম হয়েছিল। নিউইয়র্ক শহরে শুরু হয়েছিল কবিতা আন্দোলন। বাংলায় যে হাংরি আন্দোলনের উৎস ঠিক কী ছিল তা আজও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। এই গোষ্ঠীর কবিদের লেখা পড়ে আমার মনে হতো যৌন ক্ষুধাই যেন তাঁদের হাঙ্গারের উৎস। তাঁদের লেখায় দেখি অকারণ যৌনতার ছড়াছড়ি। তাছাড়া এই আন্দোলনের সবচেয়ে পরিচিত মুখ তো গর্ব করে বলতেই ভালোবাসেন যে তাঁকে অশ্লীলতার দায়ে কারাবন্দী করা হয়েছিল। আমার মনে হয়েছে অন্যরকম হতে চেষ্টা করার তাৎক্ষণিক উত্তেজনাই এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি হওয়াতে অল্পদিনের মধ্যেই অনেক সহযোগী সরে আসেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায় শুরুতে এদের সঙ্গে থাকলেও, পরে সরে এসেছিলেন। আন্দোলনের হোতারা যদিও বলেন পুলিশের হাত থেকে নিস্তার পেতেই তিনি নাকি মুচলেকা দিয়ে সরে এসেছিলেন। কবির মুখে অবশ্য আমি শুনেছি আন্দোলনে বিশ্বাস হারানোই ছিল তাঁর সরে আসার মূল কারণ। তখন, আমার তরুণ বয়সে বাংলা কবিতার জগতটা বোঝার জন্য এই সব তথাকথিত নিয়মভাঙা কবিতাও অনেক পড়েছি, আজ কিন্তু সেসব পড়ার আর কোনো বাসনা হয় না।
Sunday, November 18, 2018
উদয়ন ভট্টাচার্যের ঈর্ষা
হাংরি আন্দোলনের ব্যাপারটা আমার কাছে আজও এক আরোপিত প্রচেষ্টা মনে হয়। বিদেশের যে অ্যাংরি জেনারেশনের অনুকরণে হাংরির জন্ম, তার মূলে ছিল পশ্চিমি বৈভবের ফলে সব সহজে পেয়ে যাওয়ার এক মানসিক ক্লান্তি -- যার চূড়ান্ত প্রকাশ, 'মানি কান্ট বাই মি লাভ'-এ। সেই অ্যাঙ্গার ছড়িয়ে পড়েছিল সারা পশ্চিমি দুনিয়ায়। তারই ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ক্যাম্পাস রেভোলিউশনের জন্ম হয়েছিল। নিউইয়র্ক শহরে শুরু হয়েছিল কবিতা আন্দোলন। বাংলায় যে হাংরি আন্দোলনের উৎস ঠিক কী ছিল তা আজও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। এই গোষ্ঠীর কবিদের লেখা পড়ে আমার মনে হতো যৌন ক্ষুধাই যেন তাঁদের হাঙ্গারের উৎস। তাঁদের লেখায় দেখি অকারণ যৌনতার ছড়াছড়ি। তাছাড়া এই আন্দোলনের সবচেয়ে পরিচিত মুখ তো গর্ব করে বলতেই ভালোবাসেন যে তাঁকে অশ্লীলতার দায়ে কারাবন্দী করা হয়েছিল। আমার মনে হয়েছে অন্যরকম হতে চেষ্টা করার তাৎক্ষণিক উত্তেজনাই এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি হওয়াতে অল্পদিনের মধ্যেই অনেক সহযোগী সরে আসেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায় শুরুতে এদের সঙ্গে থাকলেও, পরে সরে এসেছিলেন। আন্দোলনের হোতারা যদিও বলেন পুলিশের হাত থেকে নিস্তার পেতেই তিনি নাকি মুচলেকা দিয়ে সরে এসেছিলেন। কবির মুখে অবশ্য আমি শুনেছি আন্দোলনে বিশ্বাস হারানোই ছিল তাঁর সরে আসার মূল কারণ। তখন, আমার তরুণ বয়সে বাংলা কবিতার জগতটা বোঝার জন্য এই সব তথাকথিত নিয়মভাঙা কবিতাও অনেক পড়েছি, আজ কিন্তু সেসব পড়ার আর কোনো বাসনা হয় না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment