Tuesday, November 3, 2020

দুই গাণ্ডুর কথাবার্তা : বেলাল চৌধুরী ও চয়ন খায়রুল হাবিব

 চঃ এটা মজার, কৃত্তিবাসের একটা প্রধান অংশই সুনীলকে না জানিয়ে হাংরি আন্দোলনে জোগ দিয়েছিল।শক্তি, সন্দীপনও চলে গিয়েছিল।কিন্তু ঐসব ঈস্তাহারত পড়া যায় না, এতই পচা।সুনীলকে ওরা জানায় নি কেন?
বঃ ইর্ষা, ভয়।সমির আবার সুনীলদার বন্ধু ছিল।“ধর্মে আছি, জিরাফে আছি” নিয়ে শক্তির তখন সাঙ্ঘাতিক অবস্থা, এক বসায় দশটা কবিতা লিখে ফেলছে। ও বুঝে গিয়েছিল সমির, মলয়দের হাতে লেখা নেই।ও বুঝেছিল যে হাংরিদের সাথে থাকলে ওর কবিতা ধ্বংশ হয়ে ্যাবে।খুব সম্ভবত সেই প্রথম শক্তি সুনীলদার কবিতার ক্ষমতাও বুঝতে পেরেছিল।ও আবার কৃত্তিবাস বলয়ে ফিরে আসে।টাইম ম্যগাজিন বিটদের কথা বলতে গিয়ে হাংরিদের সম্পর্কে বলেছিল।ঐটুকুই। লেখা কই?বোগাস।
চঃ যে সুনীলকে ওরা ওদের সাথে ডাকেনি , জ়েলে নেবার পর তাকেই অনুনয় করছে আদালতে গিয়ে ওদের কবিতার পক্ষ্যে সাফাই গাইতে!
বঃ মলয় ওটা করেছিল।সুনীলদাকে নিজে গিয়ে ও সাক্ষ্য দিতে বলেছিল।ওর জ়েল দন্ড ঠেকাতেই সুনীলদা ওর কবিতাকে উত্তির্ন না মনে করলেও বলেছিল “সার্থক কবিতা”।
চঃ শক্তি কি করেছিল?
বঃ সমির, মলয়দের এক বোনের সাথে প্রেম করেছিল।ওদের অনেকগুলো বোন ছিল।
চঃ নাম কি বোনটার?
বঃ শিলা।
চঃ শিলা রায় চৌধুরি!শক্তির প্রেমিকা!হো হো হো...
বঃ শক্তির আবার প্রেম, ফ্রেম।ফস্টি নষ্টি আর কি!

Friday, August 7, 2020

প্রবুদ্ধসুন্দর কর-এর ঈর্ষা

প্রবুদ্ধসুন্দর কর-এর ঈর্ষা

হাজার বছরের বাংলা কবিতার গু-গোবর টানতে আমরা রাজি নই, এরকমই ঘোষণা দিয়েছিলেন হাংরি জেনারেশন আন্দোলনের কবি শৈলেশ্বর ঘোষ। ঐতিহ্যকে অস্বীকার করে নিজেদের স্বয়ম্ভূ প্রমাণ করার তৎপরতার ভেতর যৌবনধর্মোচিত ঔদ্ধত্য যেমন রয়েছে, তেমনি হাজার বছরের ঐতিহ্যের আবহমানতার তলায় নিজেদের সঙ্ঘবদ্ধতার সাম্রাজ্যবিস্তারকে চাপা পড়তে দেখার অমূলক এক ভয় ও নিরাপত্তার অভাববোধও রয়েছে বই-কি।

পরবর্তী সময়ের তরুণেরা অবশ্য বোকামি করে এরকম কোনো ঘোষণা দেননি, শৈলেশ্বর-মলয়-প্রদীপ-বাসুদেব-সুভাষদের হাংরি আন্দোলনের গু-গোবর টানতে আমরা রাজি নই। বরং আহরণের পর আত্মস্থ করে নিজেদের সঞ্চারপথ এগিয়ে নিয়ে গেছেন ক্রমশ। কিছু ছিটমহলের জন্ম দিয়ে হাংরি আন্দোলন শেষ অব্দি হয়ে উঠল দুলাল চন্দ্র ভড়ের তালমিছরি। কার সই যে আসল আর কার সই যে জাল, তা আজও অমীমাংসিত।

পলাশ বর্মণের ঈর্ষা

পলাশ বর্মণের ঈর্ষা

আমি শিখি; আপনি?

'...ছন্দ-যতিচিহ্ন-অন্বয় না-জানা কিছু কবিতামুদ্রণখোর কচিকাঁচা-দরকচা আছেন, তেমনই আছেন কিছু ভীমরতিপ্রাপ্ত, রতিবর্জিত ও অসার ক্ষুধান্দোলনজাত প্রাক্তন কবিও।'

উদ্ধৃতাংশটি হয়তো আপনাদের কারও কারও চোখে পড়ে থাকবে। যাঁদের চোখে পড়েনি, তাঁরাও এখন মনোযোগ দিতে পারেন। গতকাল 'কবি সুতপা সেনগুপ্তের সঙ্গে ঈশ্বর বিদ্যাসাগরের গোপন সম্পর্ক বিষয়ে মীমাংসা' শীর্ষক পোস্টে আমি একথা লিখেছিলাম।

মাননীয় প্রতিবাদীগণ, আপনারা প্রায় কেউ নিশ্চয়ই বোঝেননি, যে, 'কিছু ভীমরতিপ্রাপ্ত, রতিবর্জিত ও অসার ক্ষুধান্দোলনজাত প্রাক্তন কবিও' বলতে আমি কী ইঙ্গিত করেছিলাম, তাই তো? হয়তো পুরোনো ও মেধাবী কেউ বুঝে থাকবেন। তবে, অধিকাংশ হুজুগে তরুণ প্রতিবাদীই যে বুঝবেন না, এটা আমার কাছে প্রত্যাশিতই। এর সহজ কারণ, এঁরা পড়েন না; বাংলা কবিতার ধারা বা ইতিহাস কিছুই জানেন না। এঁদের আমি 'ছন্দ-যতিচিহ্ন-অন্বয় না-জানা কিছু কবিতামুদ্রণখোর কচিকাঁচা-দরকচা' অভিধায় সসম্মান ভূষিত করেছি। এঁরা এসব জানলে, বুঝলে আমাকে দ্বিতীয়বার আক্রমণ করতেন। এবং, সজ্ঞানে জানাই, এই দ্বিতীয় আক্রমণটি ঘটলে আমার ভালো লাগত। বুঝতাম, তরুণরা খবর রাখেন, পড়েন, খানিক অধ্যয়ন করার প্রতি আগ্রহী। দুর্ভাগ্য, তা ঘটল না।

এখন, প্রশ্ন হল, আমার ইঙ্গিতটি কী ছিল?

ভীমরতিপ্রাপ্ত
রতিবর্জিত
ক্ষুধান্দোলনজাত

এই তিনটি শব্দই ছিল মূল সংকেত। প্রথম শব্দটি থেকে সহজ অর্থে এলে দাঁড়ায়, যাঁদের ইঙ্গিত করা হয়েছে, তাঁরা বেশ বয়স্ক। দ্বিতীয় শব্দটি মজা করে বলা, বয়স্ক মানুষের রতিকর্ম থাকবে না, এটাই সাধারণভাবে স্বাভাবিক, কিন্তু, যৌনতার আগ্রহ তো সজাগই থাকে, তাই না? শব্দগুলোর মধ্যে তৃতীয় শব্দটিই সুনির্দিষ্ট সংকেত দেয়। কী? শব্দটিকে ভাঙলে কী পাই? ক্ষুধা, আন্দোলন ও জাত। অর্থাৎ, ক্ষুধা-সংরক্ত আন্দোলন থেকে উৎসারিত। এবার হয়তো ধরতে পেরেছেন, যে, আমি ষাটের দশকের বিখ্যাত হাংরি মুভমেন্টের কথা বলছি। তাহলে, বোঝাই গেল, সেই আন্দোলনের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন বা সেই আন্দোলনের এজেন্ডা অনুযায়ী যে আকর্ষণীয় কাব্য আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার কুশীলবদের প্রতিই আমার ইঙ্গিত। কিন্তু, এর পরেও প্রশ্ন থেকে যায়। আমি কি তাঁদের সকলের কথা বলতে চেয়েছি? না। এক, শুধু কবিদের কথা বলেছি। দুই, সব কবিদের নয়, তাঁদের মধ্যে যিনি বা যাঁরা বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত সুতপা সেনগুপ্তের প্রতি-মন্তব্যে সাংঘাতিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, আমি আরও নির্দিষ্ট করে তাঁর বা তাঁদের কথাই বলেছি। কে বা কে কে এই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন? যাঁর পোস্ট আমার চোখে পড়েছে, তিনি শ্রদ্ধেয় মলয় রায়চৌধুরী। চেনেন নাকি তাঁকে, জানেন?‍‍‍‍ পড়েছেন তাঁর কোনও লেখা? বেশ, এই পোস্টের শেষে তাঁর একটি কবিতা দিচ্ছি, পড়ুন। তবে, তাঁকে কেন আমি 'প্রাক্তন কবি' বললাম বা কে তাঁদের আন্দোলন আমার কাছে 'অসার', সে দীর্ঘ আলোচনা বারান্তরে হতে পারে।

কথা হল, আপনারা অধিকাংশই এসব বোঝার মতো অবস্থায় না পৌঁছলেও, স্বয়ং মলয় রায়চৌধুরী আমার পোস্ট খেয়াল করেছেন, পড়েছেন। আপনারা হলে, কী করতেন? প্রতিবাদের নামে হাল্লা মাচাতেন, দল পাকিয়ে নিজেদের আরও মূর্খ ও নীচ প্রমাণ করার জন্যে গুলতানি করতেন, তাই না? আমার কাছে শিক্ষা এই, যে, মলয়বাবু এসব করলেন না। আসলে, এসব করার কথাও নয়। আর, ঠিক এখানেই ওঁদের উচ্চতার মানুষ ও মননের সঙ্গে পার্থক্য আমাদের। আমার মনে হয়, তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আদর্শ প্রকৃত অর্থেই অনুধাবন করতে পেরেছেন, যা আমাদের কাছে এখনও অধরাই। আমার গতকালকের পোস্টে দেওয়া বিদ্যাসাগরের একটি প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিভঙ্গি এখানে আবার উদ্ধার করছি:

'প্রতিবাদী মহাশয়েরা স্ব স্ব উত্তরপুস্তকে বিস্তর কথা লিখিয়াছেন; কিন্তু, সকল কথাই প্রকৃত বিষয়ের উপযোগিনী নহে। যে সকল কথা প্রকৃত বিষয়ের উপযোগিনী বোধ হইয়াছে, সেই সকল কথার যথাশক্তি প্রত্যুত্তর প্রদানে প্রবৃত্ত হইলাম। আমি এই প্রত্যুত্তর প্রদান বিষয়ে বিস্তর যত্ন ও বিস্তর পরিশ্রম করিয়াছি। পাঠকবর্গের নিকট বিনয়বাক্যে প্রার্থনা এই, তাঁহারা যেন, অনুগ্রহ প্রদর্শন পূর্ব্বক, নিবিষ্ট চিত্তে, এই প্রত্যুত্তর পুস্তক অন্ততঃ এক বার আদ্যোপান্ত পাঠ করেন, তাহা হইলেই আমার সকল যত্ন ও সকল শ্রম সফল হইবেক।'
(বিধবাবিবাহ, দ্বিতীয় পুস্তক)

মলয় রায়চৌধুরী আমার পোস্টে কোন বিষয়ে কী কমেন্ট লিখলেন, তা সঙ্গের ছবিতে (স্ক্রিনশট) দেখুন। এবার, আসুন, তাঁর একটি কবিতা পড়া যাক:
______
নখ কাটা ও প্রেম

রবীন্দ্রনাথ, দেড়শ বছর পর একটা প্রশ্ন আপনাকে:
কে আপনার নখ কেটে দিত যখন বিদেশ-বিভূঁইয়ে--
সেই বিদেশিনী? নাকি চৌখশ সুন্দরী ভক্তিমতীরা?
যুবতীরা আপনার হাতখানা কোলের উপরে নিয়ে নখ
কেটে দিচ্ছেন, এরকম ফটো কেউ তোলেনি যে!
ওকাম্পোর হাঁটুর উপরে রাখা আপনার দর্শনীয় পা?

মহত্মা গান্ধীর দুই ডানা রাখবার সাথিনেরা
বোধহয় কেটে দিত নখ; কেন-না বার্ধক্যে পৌঁছে
নিজের পায়ের কাছে নেইলকাটার নিয়ে যাওয়া, ওফ, কী
কষ্টকর, আমার মতোন বুড়ো যুবতী সঙ্গীহীন পদ্যলিখিয়েরা
জানে; প্রেম যে কখন বয়সের দাবি নিয়ে আসে!

ফিসফিসে-লোকে বলে সুনীলদার প্রতিটি নখের জন্যে
উঠতি-কবিনী থাকে এক-একজন। জয় গোস্বামীরও
ছিল; তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সমুদ্রের পাঁকে চোখ বুজে।
চাইবাসার ছোটোঘরে শক্তিদার নখ কেটে দিচ্ছেন প্রেমিকাটি
দেখেছি যৌবনে। বিজয়াদিদির নখ কেটে দেন কি শরৎ?

যশোধরা, তোর নখ কেটে কি দিয়েছে তৃণাঞ্জন কখনও?
সুবোধ, আপনি নখ কেটে দিয়েছেন মল্লিকার পা-দুখানি
কোলের উপরে তুলে? কবি কত একা টের পেতে তার পা-এ
তাকালেই বোঝা যায়। যেমন জীবনানন্দ, হাজার বছর
খুঁজে চলেছেন কোনো এক বনলতা নখ কেটে দিয়ে যাবে
তাঁর...
______

আবার কবির পায়ের দিকে তাকাই আমি।

ছবিতে থাকতে পারে: 1 জন, যে টেক্সটে 'Replies মলয় রায়চৌধুরী সিরাজ সম্পর্কে সিরাজের এক জাঠতুতো ভাই যা লিখে গেছে, তা থেকে বোঝা যায় সিরাজ অত্যন্ত দুশ্চরিত্রের লোক পায়ুকামী, আর হিন্দুবিরোধী ছিল এই বইটি প্রমাণ WILLIAM DALRYMPLE THE ANARCHY RELENTLESS RISE INDIA COMPANY 9h Like Reply Palash Barman মলয় রায়চৌধুরী বিশিষ্ট জনপ্রিয় এই লেখক ইতিহাসের নানান অলিগলি অন্যরকম করে চিনিয়ে চলেছেন। তাই বলে, সবসময় একমত হতেই হবে, এমন বলছি না।' লেখা আছে

সুতপা সেনগুপ্ত,
অধ্যাপক ও কবি

আপনি ইসলাম ধর্ম নেয়া সত্বেও ন্যাড়া হয়ে বাবার শ্রাদ্ধ করে তার ফোটো আপলোড করেছিলেন, মনে আছে । নিঃসন্দেহে অন্তরদ্বন্দ্বে ভুগছেন, কেননা, মহাশয়া, সম্প্রতি ফেসবুকে আপনার একটি মন্তব্য প’ড়ে যারপরনাই লজ্জিত হয়েছি। সেখানে আপনি স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় সম্পর্কে লিখেছেন- ‘এক অসহায় মহিলাকে তিনি সহায়তা দিয়েছিলেন, পরে তার সঙ্গে বিদ্যাসাগরের একটি সম্পর্ক ঘটে যায় ও এক সন্তান হয়’ । আপনি প্রাজ্ঞজন ও বাংলাভাষার বিশিষ্ট কবি। সেই সুত্র ধ’রে বলি, আধুনিক বাংলাভাষার বর্ণমালা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দান ; ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে এটাও প্রতিষ্ঠিত যে, পিছিয়ে পড়া ও অসহায় নারীর সামাজিক মানোন্নয়নের জন্য তিনি জীবনভর লড়াই করেছেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, যৌনতা একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং প্রেমজ যৌনতা বা সম্মতিসাপেক্ষে যৌনতা কখনই কোন প্রকার প্রশ্নচিহ্নের সামনে পড়ে না। কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয় সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যটির কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে ব’লে মনে হয় না।
.
বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আপনি বিশিষ্ট এক কেচ্ছাকবিকে, হয়তো, আড়াল করতে গিয়ে এরূপ মন্তব্য করেছেন। উক্ত অধ্যাপক কবির জন্য সম্প্রতি ঐতিহ্যবাহী একটি পত্রিকার সঙ্গে বাংলাভাষা সাহিত্যে যুক্ত অনেকেই ব্যথিত ও লজ্জিত হয়েছেন। একজন জীবিত ও সাধারণ কবিকে বাঁচাতে আধুনিক বাংলাভাষার অন্যতম রূপকারকে অসম্মান করার অধিকার আপনার নেই।পরিশেষে বলি, আপনি আধুনিক বাংলাভাষা ও সাহিত্যের পিতৃপুরুষের সঙ্গে সঙ্গে সুমহান ঐতিহ্যকে কালিমালিপ্ত করতে চেয়েছেন। তাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত কু-মন্তব্যের সাপেক্ষে এই ফেসবুকে প্রমাণ দাখিল করার জন্য আপনাকে সাতদিন সময় দেওয়া হলো, অন্যথায় আপনার অপারগতা বৃহত্তর আন্দোলনের পথ সুপ্রশস্ত করবে।
.
ইতি
মলয় রায়চৌধুরী




সুতপা সেনগুপ্ত,
অধ্যাপক ও কবি

আপনি ইসলাম ধর্ম নেয়া সত্বেও ন্যাড়া হয়ে বাবার শ্রাদ্ধ করে তার ফোটো আপলোড করেছিলেন, মনে আছে । নিঃসন্দেহে অন্তরদ্বন্দ্বে ভুগছেন, কেননা, মহাশয়া, সম্প্রতি ফেসবুকে আপনার একটি মন্তব্য প’ড়ে যারপরনাই লজ্জিত হয়েছি। সেখানে আপনি স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় সম্পর্কে লিখেছেন- ‘এক অসহায় মহিলাকে তিনি সহায়তা দিয়েছিলেন, পরে তার সঙ্গে বিদ্যাসাগরের একটি সম্পর্ক ঘটে যায় ও এক সন্তান হয়’ । আপনি প্রাজ্ঞজন ও বাংলাভাষার বিশিষ্ট কবি। সেই সুত্র ধ’রে বলি, আধুনিক বাংলাভাষার বর্ণমালা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দান ; ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে এটাও প্রতিষ্ঠিত যে, পিছিয়ে পড়া ও অসহায় নারীর সামাজিক মানোন্নয়নের জন্য তিনি জীবনভর লড়াই করেছেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, যৌনতা একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং প্রেমজ যৌনতা বা সম্মতিসাপেক্ষে যৌনতা কখনই কোন প্রকার প্রশ্নচিহ্নের সামনে পড়ে না। কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয় সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যটির কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে ব’লে মনে হয় না।
.
বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আপনি বিশিষ্ট এক কেচ্ছাকবিকে, হয়তো, আড়াল করতে গিয়ে এরূপ মন্তব্য করেছেন। উক্ত অধ্যাপক কবির জন্য সম্প্রতি ঐতিহ্যবাহী একটি পত্রিকার সঙ্গে বাংলাভাষা সাহিত্যে যুক্ত অনেকেই ব্যথিত ও লজ্জিত হয়েছেন। একজন জীবিত ও সাধারণ কবিকে বাঁচাতে আধুনিক বাংলাভাষার অন্যতম রূপকারকে অসম্মান করার অধিকার আপনার নেই।
পরিশেষে বলি, আপনি আধুনিক বাংলাভাষা ও সাহিত্যের পিতৃপুরুষের সঙ্গে সঙ্গে সুমহান ঐতিহ্যকে কালিমালিপ্ত করতে চেয়েছেন। তাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত কু-মন্তব্যের সাপেক্ষে এই ফেসবুকে প্রমাণ দাখিল করার জন্য আপনাকে সাতদিন সময় দেওয়া হলো, অন্যথায় আপনার অপারগতা বৃহত্তর আন্দোলনের পথ সুপ্রশস্ত করবে।
.
ইতি
সূর্য ঘোষ

(লেখাটি শ্রদ্ধেয় কবি সাহিত্যিক মলয় রায়চৌধুরী -র টাইমলাইন থেকে নেওয়া)।


  • Dhruba Chatterjee শিক্ষক দিবস উদযাপন করি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্ম দিন কে সন্মান জানিয়ে । কিন্তু শিক্ষক দিবস উদযাপন করা উচিত বিদ্যাসাগরের জন্মদিন কে সন্মান জানিয়ে । ব্যক্তিগত মতামত । মনে হল । তাই বললাম ।
  • Surya Ghose Dhruba Chatterjee একদম খাঁটি কথা বলেছেন। আমি কষ্ট পাই যখন দেখি আমাদের অতি গর্বের সুপ্রাচীন থেকে নব্য দিগন্ত অবধি আমাদের সম্পদ কে আমরা চিনে উঠতেই পারলাম না। বলা ভালো চেনানো হয় নি। আর রবিঠাকুরের মতো যারা এসব বলেছিল, তাদের কথার আমল দিই নি।

  • Rima Sarkar মগজপুষ্টি। এই লেখা নেবার ক্ষমতা 'ছন্দ-যতিচিহ্ন-অন্বয় না-জানা কিছু কবিতামুদ্রণখোর কচিকাঁচা-দরকচা'-দের নেই। সারাদিন ফেসবুকে লাফালে পড়বে কখন! সবাই শর্টকাট চায়। যিনি বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ তুলেছেন আলটপকাভাবে,তিনি যা ক্ষতি করেছেন, সেই নিয়ে যে পারছে স্বল্প পড়াশোনার বদহজম উগরে আরো ক্ষতি করছে।
  • Saswati Dattaroy ইয়ে---- বুঝেছিলাম। ব্যাখ্যা কেন!
  • Ranu Ghosh আহা! দুটো লেখাই ভয়ংকর। আজ এবং কবি সুতপা সেনগুপ্ত প্রসঙ্গে। লাভলি
  • Tapas K Ray Idaning arai chale chutcho... Baji mat hobe kina Ram jane
  • Soumen Guharoy অপ্রয়োজন ও যে প্রয়োজনকে কতটুকু চেনায় । এই ঠাঁইনড়া মুহূর্তে বড়ো বেশি প্রয়োজন নিজেকে চেনার ।
  • Dinabandhu Bas সিরিজের ঐ ভাইয়ের লেখা বইটির নাম ও ভাই-এর নাম যদি জানাও তাহলে সুবিধা হয়। যদিও ঐ ভাই এখন জনগণের চাপে নির্বাসনে আছে এবং নিজের পরিচয় গোপন রেখে! আর এইসব বাদ দিয়ে পজিটিভ লেখা লেখ। আর সদন চত্বরতো বন্ধ! আছো কেমন?
  • শাপলা সপর্যিতা মলয়রায় চৌধুরীর বিষয়ে কফি হাউজের কোনো এক আড্ডায় শুনেছিলাম। আজ তার লেখা পড়লাম। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম। কিন্তু কবিতাটি আমার ভালোলাগলো না (যদিও ছোট মুখে বড় কথা হয়ে গেল)। মনে হল অগ্রজ প্রয়াত কবিদের উদাহরণ তুলে বাস্তবিক কিছু বর্তমান কবিকে খোঁচা...আরও দেখুন
  • Aniruddha Kar Sir , history kokhonoi amar favourite subject chilo na , ar ami o khub monojogi chatra chilam na . Sei jonno apnar lekha gulo amar marhae thik dhukche na .
  • Dhruba Chatterjee একদম । সত্যিই বিদ্যাসাগর সম্পর্কে এই কথা গুলো শোনাও পাপ ।
  • Manik Ganguly Darun step,ebar proman hobey
  • Wednesday, May 27, 2020

    কৌশিক সরকারের ঈর্ষা

    মলয় রায়চৌধুরীকে লেখা খোলা চিঠি:
    হাংরি কোনো আন্দোলন নয়
    কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা মালিকানা নয় আইদার হাজত মুচলেকা ওসব খুচরো মজা আসলে হাংরি একটা আইডিয়া প্রেরণা একটা লেগ্যাসি টাস্ক উত্তরাধিক্কার 🔥

    অর্ক দেবের ঈর্ষা

    Arka Deb শুনুন মলয় রায়চৌধুরী, এসব ভাঙিয়ে আর ক'দিন? ছোটলোকের ছোটবেলা এমনিতেই ভাল লেখা, বারবার পড়ব। এসব জাবর কাটেন কেন, ব্রজ রায় বলে এক ভদ্রলোক কলকাতায় থাকেন, একটা বাড়ির চিলেকোঠায় এক কামরা ঘরে। সুরজিৎ সেন খুব ভাল ভাবে চেনেন ওঁকে। ডান কাঁধটা ভাঙা। পার্ক স্ট্রিট ব্যাঙ্ক ডাকাতি-সহ নানা মামলায় ধরা পড়েন। পুলিশ হেফাজতে যা টর্চার হয়েছে শুনলে মুতে ফেলতে হবে। নোবেল কজে ডাকাতি করেছিলেন। কোনও ক্লেম টু ফেম নেই, এসব কাউকে বলেনও না, এমন একশো নাম রয়েছে।

    আপনার ভাল লেখা এমনিই পড়ব। এসব ন্যাকামি করেন কেন, এসব ভাঙাবেন আর কতদিন! হাংরি ধারণাটা লেখাজীবীর প্রেরণা। প্রেরণাই হতে পারে বড়জোর। আন্দোলন না বাল।

    আমি কে সেটা ইনবক্সে নিজেকে প্রোমোট করার আগে নিজেকেই জিজ্ঞেস করবেন অথবা আপনার স্বর্গত পিতাকে জিজ্ঞেস করুন।

    আশা করা যায়, জুতোটা ভাল মারা হয়েছে।
    আশা করা যায়, জুতোটা ভাল মারা হয়েছে।


    Friday, May 22, 2020

    নন্দিনী ধর-এর ঈর্ষা

    যে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা আমাকে দেখে শুধুই কতোগুলো ফুটোর সমাহার বা যোনি হিসেবে, তাকে আমি প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা বলে মনে করি না। ধর্ষকাম আমার কাছে বিদ্রোহ নয়। আমি শৈলেশ্বরের কবিতার লিঙ্গায়িত রূপক নই। মলয় রায়চৌধুরীর কবিতার ‘‘শিল্প’’ নই। নই তাঁর কবিতার লাবিয়া মেহোরা। হাংরি লেখকদের কাছে ‘‘শিল্প’’ বদলে ‘‘লাবিয়া মেহোরা’’ লেখা বিদ্রোহ বলে মনে হতে পারে। আমার কাছে, তা স্রেফ পিতৃতন্ত্র। দুই ভিন্ন ধারায় পিতৃতন্ত্র, কিন্তু পিতৃতন্ত্রই। বিবিক্তা বিবিক্তা খেলার সময় আমার নেই। আমি বা আমার বন্ধুরা যখন নিজেরা লিখতে বসি, আমাদের কলম বিচরণ করতে পারে সেসব জায়গায়, যেখানে আড়চোখে তাকানোর সাহসও হাংরিদের হয়নি। তাই, ওই তো প্রদীপ-মলয়-ফাল্গুনী-সুভাষ-সুবো-অরুণেশ-ত্রিদিব-সমীরণ-শৈলেশ্বরের কবিতায় পোঁদ মুছে উঠে দাঁড়াচ্ছে আমাদের কবিতা। আমার। আমাদের। আমাদের। আমাদের। কবিতা।

    Thursday, February 20, 2020

    শান্তা গাঙ্গুলি ও শীর্ষ ব্যানার্জির ঈর্ষা

    Shanta Ganguly Dear admin n...how is this relevant?

    • Shanta Ganguly What is poetry to you,is a shitload of misogyny to me...
      Therefore not finding it relevant!
      Wiki page does not mean immortality unless in vast wastebin of internet!


      (misogyny

      /mɪˈsɒdʒ(ə)ni/

      Learn to pronounce

      noun

      dislike of, contempt for, or ingrained prejudice against women.)

      body shaming

      noun

      the action or practice of humiliating someone by making mocking or critical comments about their body shape or size.

      "she is not the only celebrity to speak up about body shaming"

      adjective

      expressing mockery or criticism about a person's body shape or size.

  • Subhadip Banerjee Shanta Ganguly এখানে মিসোজিনির পার্টিকুলার কোন জিনিস বা পয়েন্টগুলো পেলেন, জানালে বাধিত হব।
    আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তো পেলাম না, যদি জানাতেন আনন্দিত হতুম।

  • Shanta Ganguly My comment my perspective!

  • Granthik Banerjee Shanta Ganguly apni onake chenen? Do you know him?

  • Shanta Ganguly So it should be acceptable if posted by a well-known person but will be unacceptable if posted by Tom-Dick-Harry!If it is not bigotry....
    He renders woman to a soulless body and objectifies to nothing better than a কোলবালিশ!
    I don't think this materi
    al requires resurrection in today's world,where a large number of people suffer from body dysmorphia and eating disorders...
    I have attracted negative comments previously by criticizing মেমসাহেব, sorry I don't think I shall ever learn the ways of sycophantic adulation which seems to be the norm of this learned group

  • Shirsa Banerjee আপনার এই ক্ষভিতা-ও আমার ভাল্লাগে না। তাই রিপোর্ট মারছি।

  • শৈবাল ঘোষ-এর ঈর্ষা

    Avishek DebRoy আমাদের দুর্ভাগ্য যে মলয় রায়চৌধুরীর সাথে রোদ্দুর রায়কে এক করা হচ্ছে । তাও ভাষা দিবসের প্রাক্কালে । একজন ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে beat movement আর হাংরিয়ান আন্দোলন আমায় ভীষণ টানে । হ্যাঁ গিন্সবার্গের মতন কবিতা আন্দোলনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দের জোর করে কমিউনিস্ট কালার লেপে দিয়ে একটা পক্ষ টানার বিরোধী আমিও । কিন্তু তাই বলে এটা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে যে আজকের দিনের progressive literature এর কথা বলা মানুষ এইসব বলছে ? সরাসরি অপমান !

    তাহলে শক্তি, সুনীল, নবারুণ, বিনয় মজুমদার, জ্যাক কেরুয়াক, গিন্সবার্গ ফার্লিঙগেটি, গ্রেগরি করসো সবাই অশ্লীল । রবীন্দ্রনাথ, চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি রাও রোদ্দুর রায় এক একজন ।

    খুব আঘাত পাওয়ার দিন । বাঙালি বুদ্ধিমত্তা আজ বিপন্ন । ছিঃ । লজ্জা করছে । মলয়দা আমাদের ক্ষমা করবেন আপনার মত হাংরি জেনারেশনের শেষ জীবিত কবিকে বইয়ের ছবি পোস্ট করে নিজের পরিচয় দিতে হচ্ছে বলে ।
  • Saibal Ghosh ব্যক্তিগত উপলব্ধিকে সার্বজনীন করে তুলতে না পারলে যাকে সাহিত্য বলতে পারিনা, আসলে শুধু অশ্লীল শব্দ থাকলেই অশ্লীল হয়না, অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ না করেও অশ্লীলতা প্রকাশ করা যায়, লেখক বলতে চেয়েছেন, যে বাহুতে ঘুমোতে চান, সেখানে ছোট বুক আর সরু কোমর জোর করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এনেছেন, যা অপ্রয়োজনীয়, তাই এখানেই তিনি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ।

    • Bidisha Chakrabarti Saibal Ghosh Wordsworth বলেছিলেন, Poetry is spontaneous overflow of powerful feelings. তাহলে spontaneity বাদ দিয়ে কবিতা লিখতে বলছেন?

  • Saibal Ghosh Bidisha Chakrabarti স্পনটেনিয়াস যা কিছু বেরোবে তাই কবিতা হয়ে যায়-এটা আমার মনে হয়নি, এ নিয়ে বহুজনের বহু মত রয়েছে, ওয়ার্ডস ওয়াথ কে তো ভুল বলতে পারিনা, কিন্তু আমারও যৎসামান্য উপলব্ধি আছে, তা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তা অন্য বিষয় ।আবেগের বশে কবিতা লেখা আর আবেগ সর্বস্ব হওয়া এক নয়, আবেগকে, উপলব্ধিকে যুক্তি সঙ্গত ভাবে নিয়ন্ত্রিত না করতে পারলে তা সাহিত্য হয় কী করে, হ্যাঁ, অনেকেই লিখেছেন, লিখছেন, বেঁচে থাকাটাই মৌলিকত্ব ।