Wednesday, May 27, 2020

কৌশিক সরকারের ঈর্ষা

মলয় রায়চৌধুরীকে লেখা খোলা চিঠি:
হাংরি কোনো আন্দোলন নয়
কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা মালিকানা নয় আইদার হাজত মুচলেকা ওসব খুচরো মজা আসলে হাংরি একটা আইডিয়া প্রেরণা একটা লেগ্যাসি টাস্ক উত্তরাধিক্কার 🔥

অর্ক দেবের ঈর্ষা

Arka Deb শুনুন মলয় রায়চৌধুরী, এসব ভাঙিয়ে আর ক'দিন? ছোটলোকের ছোটবেলা এমনিতেই ভাল লেখা, বারবার পড়ব। এসব জাবর কাটেন কেন, ব্রজ রায় বলে এক ভদ্রলোক কলকাতায় থাকেন, একটা বাড়ির চিলেকোঠায় এক কামরা ঘরে। সুরজিৎ সেন খুব ভাল ভাবে চেনেন ওঁকে। ডান কাঁধটা ভাঙা। পার্ক স্ট্রিট ব্যাঙ্ক ডাকাতি-সহ নানা মামলায় ধরা পড়েন। পুলিশ হেফাজতে যা টর্চার হয়েছে শুনলে মুতে ফেলতে হবে। নোবেল কজে ডাকাতি করেছিলেন। কোনও ক্লেম টু ফেম নেই, এসব কাউকে বলেনও না, এমন একশো নাম রয়েছে।

আপনার ভাল লেখা এমনিই পড়ব। এসব ন্যাকামি করেন কেন, এসব ভাঙাবেন আর কতদিন! হাংরি ধারণাটা লেখাজীবীর প্রেরণা। প্রেরণাই হতে পারে বড়জোর। আন্দোলন না বাল।

আমি কে সেটা ইনবক্সে নিজেকে প্রোমোট করার আগে নিজেকেই জিজ্ঞেস করবেন অথবা আপনার স্বর্গত পিতাকে জিজ্ঞেস করুন।

আশা করা যায়, জুতোটা ভাল মারা হয়েছে।
আশা করা যায়, জুতোটা ভাল মারা হয়েছে।


Friday, May 22, 2020

নন্দিনী ধর-এর ঈর্ষা

যে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা আমাকে দেখে শুধুই কতোগুলো ফুটোর সমাহার বা যোনি হিসেবে, তাকে আমি প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা বলে মনে করি না। ধর্ষকাম আমার কাছে বিদ্রোহ নয়। আমি শৈলেশ্বরের কবিতার লিঙ্গায়িত রূপক নই। মলয় রায়চৌধুরীর কবিতার ‘‘শিল্প’’ নই। নই তাঁর কবিতার লাবিয়া মেহোরা। হাংরি লেখকদের কাছে ‘‘শিল্প’’ বদলে ‘‘লাবিয়া মেহোরা’’ লেখা বিদ্রোহ বলে মনে হতে পারে। আমার কাছে, তা স্রেফ পিতৃতন্ত্র। দুই ভিন্ন ধারায় পিতৃতন্ত্র, কিন্তু পিতৃতন্ত্রই। বিবিক্তা বিবিক্তা খেলার সময় আমার নেই। আমি বা আমার বন্ধুরা যখন নিজেরা লিখতে বসি, আমাদের কলম বিচরণ করতে পারে সেসব জায়গায়, যেখানে আড়চোখে তাকানোর সাহসও হাংরিদের হয়নি। তাই, ওই তো প্রদীপ-মলয়-ফাল্গুনী-সুভাষ-সুবো-অরুণেশ-ত্রিদিব-সমীরণ-শৈলেশ্বরের কবিতায় পোঁদ মুছে উঠে দাঁড়াচ্ছে আমাদের কবিতা। আমার। আমাদের। আমাদের। আমাদের। কবিতা।