Friday, May 22, 2020

নন্দিনী ধর-এর ঈর্ষা

যে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা আমাকে দেখে শুধুই কতোগুলো ফুটোর সমাহার বা যোনি হিসেবে, তাকে আমি প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা বলে মনে করি না। ধর্ষকাম আমার কাছে বিদ্রোহ নয়। আমি শৈলেশ্বরের কবিতার লিঙ্গায়িত রূপক নই। মলয় রায়চৌধুরীর কবিতার ‘‘শিল্প’’ নই। নই তাঁর কবিতার লাবিয়া মেহোরা। হাংরি লেখকদের কাছে ‘‘শিল্প’’ বদলে ‘‘লাবিয়া মেহোরা’’ লেখা বিদ্রোহ বলে মনে হতে পারে। আমার কাছে, তা স্রেফ পিতৃতন্ত্র। দুই ভিন্ন ধারায় পিতৃতন্ত্র, কিন্তু পিতৃতন্ত্রই। বিবিক্তা বিবিক্তা খেলার সময় আমার নেই। আমি বা আমার বন্ধুরা যখন নিজেরা লিখতে বসি, আমাদের কলম বিচরণ করতে পারে সেসব জায়গায়, যেখানে আড়চোখে তাকানোর সাহসও হাংরিদের হয়নি। তাই, ওই তো প্রদীপ-মলয়-ফাল্গুনী-সুভাষ-সুবো-অরুণেশ-ত্রিদিব-সমীরণ-শৈলেশ্বরের কবিতায় পোঁদ মুছে উঠে দাঁড়াচ্ছে আমাদের কবিতা। আমার। আমাদের। আমাদের। আমাদের। কবিতা।

No comments:

Post a Comment