আজ (১৬ আগস্ট) আনন্দবাজার পত্রিকার ই-সংস্করণে আমাদের অনুজপ্রতিম বন্ধু বিশ্বজিত্ রায়ের (Biswajit Ray)
‘সাবঅলটার্নের দোহাই, গালাগাল দেবেন না’ নিবন্ধটি প্রণিধানযোগ্য।
সাম্প্রতিক নব্য বাংলা-সিনেমায় ‘সাবঅলটার্নের দোহাই’ দিয়ে আকছার যে-ধরনের
ছাপার অযোগ্য গালি ব্যবহার করা হয়, সে-সম্পর্কে বিশ্বভারতীর শিক্ষক
বিশ্বজিত্ সবিনয়ে প্রতিবাদজ্ঞাপন করেছেন।
বাংলাসাহিত্যে সেই ছয়ের দশকে হাংরি কবি-লেখকরা এমন-একটি ধারা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।তখন তা ছিল অনেকটাই অভিনব।সেই ধারা স্বভাবতই কোনও প্রভাব ফেলেনি পরবর্তী সাহিত্যে। পরে অরুণেশ ঘোষ, শৈলেশ্বর ঘোষ, ফালগুনী রায়, সুবিমল মিশ্র বা সুবিমল বসাকের লেখায় তা থেকেছে বিচ্ছিন্ন পালকের মতো। তা যে কেবল প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না-পাওয়ায়, তা বোধহয় নয়। কেননা, আরও পরে সমরেশ বসুর ‘বিবর’, ‘প্রজাপতি’, ‘পাতক’, ‘স্বীকারোক্তি’ উপন্যাসগুলি প্রাতিষ্ঠানিক পত্রেই বেরিয়েছিল। মহাশ্বেতা দেবী চিরকাল সাবঅলটার্ন-জীবনের কথা লিখলেও, তাঁর লেখায় ওইজাতীয় অপশব্দ দুর্লক্ষ।
নবারুণ ভট্টাচার্য্র লেখায় আমরা ওইসব শব্দের বিস্ফোরণ দেখেছি। নবারুণের মৃত্যুর পরে এই কথাটিই বলতে চেয়েছিলাম তাঁর হারবার্ট সরকারের মুখ দিয়ে, নবারুণ-হারবার্টের কাল্পনিক কথোপকথনে, সেই ভাষায়, এইভাবে যে, (সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘হারবার্ট’) ‘ছবিটাকে বিপজ্জনক মনে করেছিল রাষ্ট্র।’ নবারুণের এই বীক্ষণে হারবার্ট বলে, ‘সে তো ওই গেঁড়ে-মন্ত্রীটার জন্য! সেন্সরের-সার্টিফিকেট-পাওয়া বই, বলে কিনা নন্দনে দেকানো যাবে না! তা ভূত হয়েও ফিলিমিটা তো দেকলাম! বালের বিপজ্জনক! আমোদগেঁড়ে পাবলিক হেব্বি মস্তি নিয়েছে ছবিটা থেকে। শীতলাগা হলে একটা করে খিস্তি উড়েছে, আর পাবলিকের পয়সা উসুল হয়ে গেছে। আমাদের সময় হেলেনের পেটি দেখে অমন হত, এখন এসব খিস্তিখিল্লিছেটানো বিপ্লবের ফিলিম দেখলে সকলের দাঁড়িয়ে যায়! যখনকার যা, বুঝলে না, বাপ্পাদাদা!’ বিশ্বজিত্ এই কথাগুলি সবিনয়ে আরও তীব্র করে বলতে পেরেছেন।
মনে আছে, আমার লেখাটি পড়ে বন্ধুরা প্রশংসা করেছিল এই বলে যে, আমিও কতটা সাবঅলটার্ন পারি। তাতে লেখাটির অভিঘাতটুকু (যদি কিছু থাকত) মাঠে মারা যায়। বিশ্বজিতের লেখাটি তেমন হবে না। ধন্যবাদ, বিশ্বজিত্।
বাংলাসাহিত্যে সেই ছয়ের দশকে হাংরি কবি-লেখকরা এমন-একটি ধারা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।তখন তা ছিল অনেকটাই অভিনব।সেই ধারা স্বভাবতই কোনও প্রভাব ফেলেনি পরবর্তী সাহিত্যে। পরে অরুণেশ ঘোষ, শৈলেশ্বর ঘোষ, ফালগুনী রায়, সুবিমল মিশ্র বা সুবিমল বসাকের লেখায় তা থেকেছে বিচ্ছিন্ন পালকের মতো। তা যে কেবল প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না-পাওয়ায়, তা বোধহয় নয়। কেননা, আরও পরে সমরেশ বসুর ‘বিবর’, ‘প্রজাপতি’, ‘পাতক’, ‘স্বীকারোক্তি’ উপন্যাসগুলি প্রাতিষ্ঠানিক পত্রেই বেরিয়েছিল। মহাশ্বেতা দেবী চিরকাল সাবঅলটার্ন-জীবনের কথা লিখলেও, তাঁর লেখায় ওইজাতীয় অপশব্দ দুর্লক্ষ।
নবারুণ ভট্টাচার্য্র লেখায় আমরা ওইসব শব্দের বিস্ফোরণ দেখেছি। নবারুণের মৃত্যুর পরে এই কথাটিই বলতে চেয়েছিলাম তাঁর হারবার্ট সরকারের মুখ দিয়ে, নবারুণ-হারবার্টের কাল্পনিক কথোপকথনে, সেই ভাষায়, এইভাবে যে, (সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘হারবার্ট’) ‘ছবিটাকে বিপজ্জনক মনে করেছিল রাষ্ট্র।’ নবারুণের এই বীক্ষণে হারবার্ট বলে, ‘সে তো ওই গেঁড়ে-মন্ত্রীটার জন্য! সেন্সরের-সার্টিফিকেট-পাওয়া বই, বলে কিনা নন্দনে দেকানো যাবে না! তা ভূত হয়েও ফিলিমিটা তো দেকলাম! বালের বিপজ্জনক! আমোদগেঁড়ে পাবলিক হেব্বি মস্তি নিয়েছে ছবিটা থেকে। শীতলাগা হলে একটা করে খিস্তি উড়েছে, আর পাবলিকের পয়সা উসুল হয়ে গেছে। আমাদের সময় হেলেনের পেটি দেখে অমন হত, এখন এসব খিস্তিখিল্লিছেটানো বিপ্লবের ফিলিম দেখলে সকলের দাঁড়িয়ে যায়! যখনকার যা, বুঝলে না, বাপ্পাদাদা!’ বিশ্বজিত্ এই কথাগুলি সবিনয়ে আরও তীব্র করে বলতে পেরেছেন।
মনে আছে, আমার লেখাটি পড়ে বন্ধুরা প্রশংসা করেছিল এই বলে যে, আমিও কতটা সাবঅলটার্ন পারি। তাতে লেখাটির অভিঘাতটুকু (যদি কিছু থাকত) মাঠে মারা যায়। বিশ্বজিতের লেখাটি তেমন হবে না। ধন্যবাদ, বিশ্বজিত্।