Wednesday, August 8, 2018

দেবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর ঈর্ষা

"প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার" সম্পর্কে কিছু কথা: 
অধ্যাপক দেবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় যা কহিলেন
১। "সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাব"-- তবে কেন বাপু সাহিত্য আন্দোলন নিয়ে এত হাঁকুপাঁকু ?
২। "ধর্ষণকালে নারীকে ভুলে গিয়ে শিল্পে ফিরে এসেছি কতদিন"-- ধর্ষণ ইয়ে মানে বলপ্রয়োগ-সংগম ব্যাপারটা থেকে কবি-কথক শিল্পে ফিরেছেন-- বা, বেশ সমকালীন লাগছে... ভালো কথা, শুভার সম্মতি আছে তো?
৩। "শুভাকে হিঁচড়ে উঠিয়ে নিয়ে যাব আমার ক্ষুধায়"-- "ক্ষুধা" কি কেবল পেটের নিচের? পেটের খিদে যখন মোচড় দেয়, তখন, তখন.... খবরে প্রকাশ: চাষার আত্মহত্যা! হায়! হায় ক্ষুধিত পাষাণ!
৪। "এরকম অসহায় চেহারা ফুটিয়েও নারী বিশ্বাসঘাতিনী হয়/ আজ মনে হয় নারী ও শিল্পের মতো বিশ্বাসঘাতিনী কিছু নেই"-- এমত বাক্যের নারীবাদী পাঠ কেমন হবে?
৫। “একদিকে এই (ভাষার) বিস্ময়কর বহুত্ব..." বহুত্ব কিম্বা উদ্বৃত্ত মানের বিচ্ছুরণ তো পেলুম না, মনে হলো এত disposable text!এ আমারই দোষ, মোটা বুর্জোয়া মাথা তো আমার....


যাক, জানা গেল যে, এত্ত বড় বড় কবিরা সব গীতা ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলেন।
চট্টগ্রামের ভাষায় "প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার
অ-খোদা মরি যাইয়ুম যাইযুম/
আঁর চঁ’ড়া জ্বলি যারগই আঠাইট্যা ঠাডারে/
আঁই কী গউজ্জুম কডে যাইয়ুম/
অ’মারে কিচ্ছু গম ন লাগের/
লেয়-পড়া বেগ্গুন লাথি মারি/ যাইয়ুমগই শুভা/
শুভা আঁরে তোঁয়ার তরমুজ-কঅরর/ ভিতরে ঘইলতা দ’/
ঘুটঘুইট্টা আঁধারত খইর খইর/ মশারির লুডি পইজ্জা ছামাত/
বেক নাকল তুলি নিবার পর শেষ/ নাকলঅ আঁরে ফেলাই যারগই/
আঁইত আর ন পারির,/
মেলা কাঁচ ভাঙি যারগই আঁই জানি/ শুভা, হেডা মেলি ধর,/
শান্তি দ শিরা বেগ্গুনে চৌগরপানি/ আনি লই যারগই কইলজার ভিতরে/
আদিকাইল্যা ব্যারামে পুঁচি যারগই/ মগজর হাঁছোড়াইন্যা অউনর ফুঁয়া /
অ’মা, তুঁই আঁরে কঙ্কাল সিবে কিল্লাই জনম ন’দ?/
তইলে ত আঁই দুইকুটি অলোকবর্ষ/ ভগবাইন্যার পোঁদত চুম খাইতাম/
এয়াত কিচ্ছু ভালা ন লাগের আঁত্তে/ কিচ্ছুই ভালা ন লাগের/
উগ্যাত্তুন দু’য়া চুম দিলে উর্বিষ লা’য়/
জোরগড়ি চুইদত্তাম যাই কতবার / মাইয়াপোয়ার নাম প’ড়ি/
গম কামন ফিরি গেইগই/

                                       

No comments:

Post a Comment