Wednesday, August 8, 2018

হাংরি আন্দোলন : আনন্দবাজারের ঈর্ষা

আপেল মাহমুদ : আনন্দবাজার ও হাংরি আন্দোলন

আনন্দবাজার খুব বড় কোন পত্রিকা কি? আমরা কেন বারবার আনন্দবাজারের সংবাদকে খুব বেশি পাত্তা দিয়ে ফেলি? আনন্দবাজারতো হরহামেশাই আমাদের আজে বাজে অনলাইন পত্রিকাগুলোর মত নিউজ করে।

এইতো গত ২০ জুনের ঘটনা। হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম আনন্দবাজার নিউজ শিরোনাম করেছে 'নেইমারের শাস্তি কমে এক ম্যাচ'। সংবাদ পড়ে দেখলাম কলম্বিয়ার সাথে ব্রাজিলের ম্যাচে নেইমার জুনাগাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে লালকার্ড খাবার শাস্তি কমে এক ম্যাচ করা হয়েছে। অথচ তখনো আমাদের চ্যানেলগুলো নেইমারের চার ম্যাচ নিষিদ্ধের খবর জানানো হচ্ছে। আমি শিওর হবার জন্য কয়েকজন ক্রীড়া রিপোর্টারকে ফোন দিলাম। সব শেষে শিওর হলাম আনন্দবাজারের নিউজটি সঠিক নয়। এমনকি সেই ভূয়া সংবাদটি তারা এখনো সরিয়ে নেয়নি বা সংশোধন করেনি।

গত ২২ জুন একটা সংবাদে আনন্দবাজার লিখল বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি নাকি দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের রাতে মুস্তাফিজুরকে নিয়ে গিয়েছিলেন ধোনীর রুমে। সেখানে মুস্তাফিজের আইপিএল দরজা খোলার সম্ভাবনা আছে কি না তা ধোনীর কাছে জানতে চান মাশরাফি। এমনকি ধোনির কাছে একটা ব্যাটও নাকি চেয়েছেন দেশের এক নবীন প্রতিভাকে উত্‌সাহিত করতে। ডাহা এই মিথ্যা কথাটা তারা কি করে লিখল? অদ্ভূত! এমনকি সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি মুস্তাফিজকে ধোনীর রুমে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে সাংবাদিকদের জানানোর পরেও আনন্দবাজার ভুল সংবাদটির জন্য ক্ষমা চায়নি এমনকি সংশোধনও করেনি। 

২২ জুনেরই আরেকটা সংবাদে আনন্দবাজার লিখলো বাংলাদেশীরা নাকি সুধীর গৌতমের উপর হামলা করেছে, পাথর নিক্ষেপ করেছে। অথচ সুধীর নিজেই জানিয়েছে তাকে কেউ পাথর নিক্ষেপ করেনি, আঘাতও করেনি। এমনকি তার সাথে যা হয়েছে সেটাকে মোটেও 'হামলা' শব্দ ব্যবহার উপযোগি কোন ঘটনা বলা যাবেনা। 

গত ৬ জুনের আরেকটা সংবাদ শৈলেন সরকার নামের একজন সাংবাদিক 'হাংরি জেনারেশন রচনা সমগ্র' বুক রিভিউ লিখতে গিয়ে স্বয়ং মলয় রায়চৌধুরীর অবদানকে খাটো করেছেন। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে শৈলেন সরকার মলয়'দার 'প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার' কবিতাটিকে 'প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক কুঠার' বলে লিখেছেন। বলাই বাহুল্য যে কবিতার জন্য মলয়'দার বিরুদ্ধে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মামলা করেছিল সেই কবিতার নামটা পর্যন্ত ঠিকভাবে জানেনা, তারা অাবার সাংবাদিক! আর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় এই যে মলয়'দা এই বিষয়টি নিজের ফেসবুকে খুব কঠোরভাবে লেখার পরেও আনন্দবাজার এখনো কোন ক্ষমা চায়নি এমনকি তাদের অনলাইন ভার্সনেও কবিতার নামটি সংশোধন করেনি

আমার কোলকাতার বন্ধুদের মুখেই শুনেছি ওরা আনন্দবাজারের সংবাদকে এতটাও গুরুত্ব দেয়না যতটা গুরুত্ব দেই আমরা বাংলাদেশীরা। তাই বলি কি, অনেক হইছে। আর না। এক জুন মাসেই যে পত্রিকাটি এত এত ভুল করে সেই পত্রিকার সারা বছরের নিউজ ঘাটলে ভুলের পাহাড় বের করা যাবে। তাই এই দায়িত্বজ্ঞানহীন নিম্নমানের পত্রিকাটির সংবাদ নিয়ে আর লাফালাফি না করি। পাগল পাগলের প্রলাপ বকতে থাকুক।

শুজা মাহমুদ : হাংরি জেনারেশন আন্দোলন আছে, থাকবে

Hungryalist movement // হাংরি জেনারেশন // হাংরি জেনারেশন আন্দোলন
একটি সতর্কবাণী : এই শিরোনামের পোস্ট গুলি বয়স নয় মনন ও চিন্তায় যারা প্রাপ্ত বয়স্ক শুধু মাত্র তাদের জন্য। 

রফিক ভাই, হাংরি জেনারেশন, ষাটের দশকের একটি মুছে যাওয়া আধ্যায়, তুলে এনেছেন সম্প্রতি তাঁর টাইম লাইনে । এই প্রসঙ্গে আমরা পরস্পরের সাথে আলাপ-চারিতায় আমাদের কৈশরে ফিরে গিয়েছি এবং স্মৃতি চারণ করেছি। মুরাদ জানতে চেয়েছে হাংরি জেনারেশনের কথা। বাংলায় ( উভয় বাংলায় ) কবিদের মধ্যে এখন আর শোনা যায় না, ষাটের দশকের প্রথমার্ধের সেই আন্দোলনের কথা। অথচ পশ্চিম বঙ্গে এবং বিশ্ব সাহিত্যের পরিমণ্ডলে এখনও আলোচিত হচ্ছে কোলকাতার Hungryalist Movement সম্পর্কে। ২০১৪-১৫ তে বিবিসি একটি ডকুমেণ্টারি প্রচার করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে এবং ভারতের সাহিত্য সম্পর্কিত পত্র পত্রিকায় এই সেদিনও লেখা লেখি হয়েছে ও হচ্ছে সেই দ্রোহ কালের কবি ও কবিতাবলি নিয়ে। সিনেমা হচ্ছে অথবা সিনেমার কাহিনীতে সংযোজিত হচ্ছে দ্রোহী কবিদের কবিতা ( সেন্সরড ) । 


হাংরি জেনারেশন নিয়ে পোস্ট একটি পর্বে শেষ হবে না। তাই প্রথম পর্বে কবিতা ও গান ( বাইশে শ্রাবণ ছবিটি ওই থিমে তৈরি ও কবিতার অংশ বিশেষ সে সময়ের ) দিলাম। পরের পর্বে বিভিন্ন ওয়েবসাইট হাতড়ানো-লব্ধ তথ্যাদি, আমার ক্ষুদ্র জানা ও ধারনা থেকে লেখার চেষ্টা থাকবে। মলয় চৌধুরীর ছবি ( সিনেমা )-টা আপলোডের চেষ্টা করবো সেই সাথে। এতদসম্পর্কিত জানা তথ্য ও চিন্তা ভাবনা বিনিময়ের জন্য সকলের কাছে বিনীত আহ্বান রইলো । বিনয়ের সাথে আরেকটি স্বীকারোক্তি, যে জলে ডুব সাঁতার দিয়ে মুক্তা খুজবেন, হয়তো দেখবেন আমিও সেখানে ডুব সাঁতার দিচ্ছি। আমি সে জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিলাম।

উত্তম দত্ত : হাংরি জেনারেশনের গুলি খাওয়া বাঘ মলয় রায়চৌধুরী

হাংরি জেনারেশনের গুলি খাওয়া বাঘ মলয় রায়চৌধুরীকে লেখা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি পত্র , যা গত শতাব্দীর ষাটের দশকের বাংলা সাহিত্যের একটি বিতর্কিত ঐতিহাসিক বাতাবরণের জীবন্ত দলিল । পত্রটির জন্য ঋণী রইলাম ডঃ উত্তম দাশের কাছে । পড়ুন ----- 

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর চিঠি ( মলয় রায়চৌধুরীকে লেখা )
আয়ওয়া
১০ জুন ১৯৬৪
মলয়,
তুমি কলকাতায় কী সব কাণ্ডের বড়াই করে চিঠি লিখেছ জানি না। কী কান্ড করছ ? আমার বন্ধুবান্ধবদের কেউ-কেউ ভাসাভাসা লিখেছে বটে কফিহাউসে কী সব গণ্ডোগোলের কথা।


কিছু লেখার বদলে আন্দোলন ও হাঙ্গামা করার দিকেই তোমার লক্ষ্য বেশি। রাত্রে তোমার ঘুম হয় তো ? এ-সব কিছু না --- আমার ওতে কোনো মাথাব্যথা নেই। যত খুশি আন্দোলন করে যেতে পারো --- বাংলা কবিতার ওতে কিছু আসে যায় না। মনে হয় খুব একটা শর্টকাট খ্যাতি পাবার লোভ তোমার। পেতেও পারো বলা যায় না। আমি এসব আন্দোলন কখনো করিনি, নিজের হৃৎস্পন্দন নিয়ে আমি এতই ব্যস্ত।


তবে, একথা ঠিক, কলকাতা শহরটা আমার। ফিরে গিয়ে আমি ওখানে রাজত্ব করব। তোমরা তার একচুলও বদলাতে পারবে না। আমার বন্ধুবান্ধবরা অনেকেই সম্রাট। তোমাকে ভয় করতুম, যদি তোমার মধ্যে এখন পর্যন্ত একটুও জেল্লা দেখতে পেতুম। আমার চেয়ে কম বয়সিদের মধ্যে একমাত্র তন্ময় দত্ত এসেছিল, আমার চেয়ে অন্তত ছ বছরের ছোটো--- কিন্তু জীবনানন্দের পর অত শক্তিশালী কবি এদেশে আর কেউ আসেনি। প্রচণ্ড অভিমান করে ও চলে গেছে। সেজন্যে এখনও আমি অপরের হয়ে অনুতাপ করি। আমি নিজে তো এখনও কিছুই লিখিনি, লেখার তোড়জোড় করছি মাত্র, কিন্তু তোমার মতো কবিতাকে কমার্শিয়াল করার কথা আমার কখনো মাথায় আসেনি। বালজাকের মতো আমি আমার ভোকাবুলারি আলাদা করে নিয়েছি কবিতা ও গদ্যে। তোমার প্রতি আমার যতই স্নেহ থাক মলয়, কিন্তু তোমার কবিতা সম্বন্ধে এখনো কোনোরকম উৎসাহ আমার মনে জাগেনি। প্রতীক্ষা করে আছি অবশ্য।


অনেকের ধারণা যে পরবর্তী তরুণ জেনারেশনের কবিদের হাতে না রাখলে সাহিত্যে খ্যাতি টেকে না। সে জন্যে আমার বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কেউ-কেউ একসময় তোমাদের মুরুব্বি হয়েছিল। আমি ওসব গ্রাহ্য করি না। নিজের পায়ে আমার যথেষ্ট জোর আছে, এমনকী একা দাঁড়াবার। আমার কথা হল : যে যে বন্ধু আছ, কাছে এসো, যে ভালো কবিতা লেখো কাছে এসো --- যে যে বন্ধু নও, বাজে কবিতা লেখো, দূর হয়ে যাও কাছ থেকে। বয়সের ব্যবধান তোলা আমার কাছে অত্যন্ত ভালগার লাগে।

চালিয়ে যাও ও সব আন্দোলন কিংবা জেনারেশনের ভণ্ডামি। আমার ওসব পড়তে কিংবা দেখতে মজাই লাগে। দূর থেকে। সাহিত্যের ওপর মৌরসি পাট্টা বসাতে এক-এক দলের অত লোভ কী করে আসে, কী জানি। তবে একটা কথা জানিয়ে রাখা ভালো। আমাকে দেখেছ নিশ্চয় শান্তশিষ্ট, ভালো মানুষ। আমি তাই-ই, যদিও গায়ে পদ্মাপারের রক্ত আছে। সুতরাং তোমাদের উচিত আমাকে দূরে-দূরে রাখা, বেশি খোঁচাখুঁচি না করা। নইলে, হঠাৎ উত্তেজিত হলে কী করব বলা যায় না। জীবনে ওরকম উত্তেজিত হয়েছি পৌনে একবার। গতবছর। দুএকজন বন্ধুবান্ধব ও-দলে আছে বলে নিতান্ত স্নেহবশতই তোমাদের হাংরি জেনারেশন গোড়ার দিকে ভেঙে দিইনি। এখনও সেক্ষমতা রাখি, জেনে রেখো। তবে এখনও ইচ্ছে নেই ও খেলাঘর ভাঙার।


আমার এক বন্ধু জানিয়েছে যে তোমরা নাকি আমার কোনো-কোনো চিঠির অংশবিশেষ ছাপিয়েছ। পত্রসাহিত্য-ফাহিত্য করার জন্য আমি চিঠি লিখি না। আমার চিঠি নেহাত কেজো কথা। অবশ্য লুকোবারও কিছু নেই। কিন্তু আগে-পরের কথা বাদ দিয়ে, ডটডট মেরে চালাকির জন্য আমার কোনো চিঠি কেউ ছাপিয়ে থাকে--- তবে আড়াই মাস পরে ফিরে তার কান ধরে দুই থাপ্পড় লাগাব বলে দিয়ো।


আশা করি শারীরিক ভালো আছ। আমার ভালোবাসা নিও।
সুনীলদা
Comments
Sudipta Pramanik
Sudipta Pramanik কি কান্ড!!
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
উত্তম দত্ত
উত্তম দত্ত কী কান্ড?
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Suman Saha
Suman Saha অত্যন্ত দুর্লভ অজানা একটা ইতিহাস। স্যার আপনি অনুমতি দিলে আমি আমার পরিচিত দের মধ্যে বিষয় টি শেয়ার করতে চাই। অনুমতির অপেক্ষায় রইলাম। এমন একটা বিষয় সামনে আনার জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
উত্তম দত্ত
উত্তম দত্ত শুভেচ্ছা
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
সর্ভানু দাশগুপ্ত
সর্ভানু দাশগুপ্ত ১৯৬৪ সালে হাংরি বুলেটিনে প্রকাশিত "প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার" কবিতাটির জন্য কবি মলয় রায়চৌধুরী অশ্লীলতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন | ১৯৬৭ সালে উচ্চ আদালতে অভিযোগমুক্ত হন | কবির পক্ষে সাক্ষীদের মধ্যে একজন ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় |সুনীলবাবু আদালতে বলেছিলেন এটি খুব ভালো কবিতা এবং কবিতাটির মধ্যে অশ্লীলতা নেই|
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
উত্তম দত্ত
উত্তম দত্ত শেষ কথাটি কিছু বিতর্কিত।
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Asoke Chakravarty
Asoke Chakravarty @ Sarvanu , Uttam : adaalatay sunilda sotyo kathaa bolenni. Uni Moloy-er proyojanay oi ukti korechhilen. Aadalater baairay sampurno vinnomat poshan korten.
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Arghya Dutta
Arghya Dutta 'কবিতাটির মধ্যে অশ্লীলতা নেই' এক কথা আর 'এটি খুব ভালো কবিতা' অন্য কথা। প্রথম কথাটি যে উনি বলেছিলেন তা মলয় রায়চৌধুরীর নিজের লেখাতেও পড়েছি। দ্বিতীয় কথাটি মনে হচ্ছে আগে কোথাও পড়ি নি। এ তথ্য তুমি কোথায় পেলে? আর কারো কারাদন্ড বাঁচানোই বোধহয় অভিযুক্ত-র সাক্ষী হয়ে কাঠগড়ায় ওঠার মুখ্য কারণ, সাহিত্যের সৎ বিচার তখন গৌণ। @সরভ।নু
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y · Edited
Asoke Chakravarty
Asoke Chakravarty Ei lekhaati aagay pothito. Pryaato bandhu Uttam Daser songay Moloy-er sahityo bodh niay aalochanaa hoto. Sunildar songay bistor, Debi Roy er songay ebong Shraddheyo Shankhdar songay aalpo bistor aalochanaa hoy-aychhay. aami ei siddhaantay uponito jay MSee more
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
উত্তম দত্ত
উত্তম দত্ত সুন্দর ও সুচিন্তিত অভিমত।
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Srimanta Ghosh
Srimanta Ghosh সেয়ার করলাম ......
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y · Edited
Deblina Dhar
Deblina Dhar khub bhalo...
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Tanusri Paul
Tanusri Paul share korchi.
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Ratna Banerjee
Ratna Banerjee অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টটির জন্য। শেয়ার করলাম।
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y · Edited
উত্তম দত্ত
উত্তম দত্ত শুভেচ্ছা
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Ranjan Roy
Ranjan Roy আমার একটি ভাবনার কথা সর্ভানু বলে দিয়েছে ...সুনীল বাবু সেদিন হাংরিদের হয়েই তাঁর মতামত দিয়েছিলেন ! এবং এটাও জানি শক্তি সুনীল বাবুরাও এক সময় হাংরির শরিক হয়েছিলেন ! পরে শাসকের ভয়ে ,পাঠকের গ্রহণ যোগ্যতার ভয়ে পিছিয়ে এসেছিলেন ! উৎপল কুমার বসু তো পুলিশের কাছে See more
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
শাশ্বতী সান্যাল
শাশ্বতী সান্যাল কিন্তু যেভাবে তন্ময় দত্ত প্রসঙ্গ এল, তাতে কী মনে হয়! অহংকারের দাঁত নখ? অবশ্য তোমার শেষ কথাগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত। সত্যিই কবি-সাহিত্যিকদের কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ, এ দ্বন্দ্বে আমি চিরটাকাল ভুগে এলাম
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Ranjan Roy
Ranjan Roy ভাগ্যিস তন্ময় দত্ত ছেড়ে চলে গেছেন ! নইলে সুনীল বাবুর পরীক্ষাটা বোঝা যেত ..আমার পড়াশোনা খুব কম ..তবে যেটুকু জানি রবীন্দ্রনাথের পরে বুদ্ধদেব বসুই একমাত্র ব্যক্তি যিনি নিজে হাতে জীবনানন্দের কাব্য ছেপে কবিকে আলোয় এনেছিলেন ! এরপর এমন পূর্বসূরি আছেন কিনা আমার জানা নেই ! ...
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Arghya Dutta
Arghya Dutta আমি শাশ্বতীর পাশে থাকলাম এই প্রসঙ্গে। তবে এসব বিষয়ে সামনা সামনি বসে আলোচনা না করলে বিস্তর ভুলবোঝাবুঝির সম্ভাবনা থাকে। আর আমরা মানুষের পিছিয়ে আসা দেখি, কিন্তু তার কারণটা নিজেরা অনুমান করে নিই বাঁধা ছকে। শুরুতে কোনো কিছুর শরিক হয়েও পিছিয়ে আসার কারন ঐ ভয় See more
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y · Edited
Ranjan Roy
Ranjan Roy যাঁরা একদিন নিজেরাই হাংরি আন্দোলনে ছিলেন তাঁরাই পরে যদি হাংরিদের গালিগালাজ করেন ..আর সেটাকে যদি মান্যতা দিতে হয় তাহলে সুবোধ সরকার আর জয় গোস্বামীরা রং বদল করে ভালই করেছেন অর্ঘ্য দা !.. যে যখন ক্ষমতায় আসবেন নানা কারণ দেখিয়ে তাঁদের সঙ্গে ভিড়ে যাওয়াতে অন্যায় কিছু থাকে না আর !.. আর নীতি আদর্শের কথা না হয় শুধু পাঠকদের জন্যই বরাদ্দ রইলো ....এবং নিজের অবস্থান বদলাতে না পেরে শঙ্খ বাবুর মত কতিপয় মানুষ খুব বোকামিই করেছেন !
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Arghya Dutta
Arghya Dutta ব্যাক্তি স্বার্থে সুচতুর রাজনৈতিক শিবির পরিবর্তন এবং অন্যের শুরু করা সাহিত্য আন্দোলন থেকে কিছুদিন বাদে ভুল বুঝতে পেরে সরে আসা একই গোত্রিয় কিনা আমার সন্দেহ আছে। বরং শাসকের ভয়ের তোয়াক্কা না করেই তো দেখছি উনি অভিযুক্তর পক্ষে সাক্ষী হয়েছেন!
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Pallab Ganguly
Pallab Ganguly এই চিঠিটা দিয়ে সুনীল গাঙ্গুলীর চরিত্রের মূল্যায়ন অন্যায় হবে যদি “যদি ডট ডট দিয়ে চালাকি মেরে” লেখা চিঠিটা পাশাপাশি না রাখা হয়। প্ররোচনার মাত্রা বা প্রেক্ষাপটটা জানাটা খুব জরুরী। না হলে বোঝা মুশকিল চিঠিতে প্রকাশিত আবেগে কোনটা বেশী পরিমাণে ছিল— প্রতিভSee more
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Ranjan Roy
Ranjan Roy আমার পড়াশোনা তেমন বেশি নয় ! তবু যেটুকু পড়েছি এটা বুঝেছি যে হাংরিদের নিয়ে শক্তি সুনীলের অবস্থান ছিল আপেক্ষিক ! হাংরিতে যোগ দেওয়া কিম্বা হাংরি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া অথবা হাংরিদের গালিগালাজ করা পর্যন্ত .....জানি না কোন অবস্থানটা ঠিক !(পল্লব বাবু )
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Kobi Kaushik Ganguly
Kobi Kaushik Ganguly যতদূর জানি সুনীল এই আন্দোলনের সঙ্গে বিন্দুমাত্র যুক্ত ছিলেন না । চিঠিটা যাই হোক মলয় যথেষ্ট শক্তিশালী লেখক তা তিনি সুনীলের মতন জনপ্রিয় না হলেও ।
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y · Edited
Samarjit Sinha
Samarjit Sinha চিঠিটা আগে পড়েছি...
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Sarit Dutta
Sarit Dutta উত্তমবাবু এই চিঠিটা কি আপনার ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে? নতুবা উৎসটা একটু জানালে ভালো হয়।
মানে আর কিছু না আমি একটা লেখার জন্যই হাংরিদের নিয়ে সামান্য পড়াশুনো করেছিলুম। তো ---- জিজ্ঞাসা পত্রিকার পঞ্চম বর্ষের কার্তিক পৌষ সংখ্যায় মলয় রায়চৌধুরীর নিজের লেখায় এইরক
See more
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
উত্তম দত্ত
উত্তম দত্ত চিঠিটি উত্তমবাবু পরে তাঁর হাংরিদের নিয়ে লেখা বইতে ছেপেছিলেন বলে জানি। আর আমার কাছে আরেকটি চিঠি আছে সুনীলদার, সেটা সমীর রায় চৌধুরীকে লেখা। তাতে সুনীলদা বলেছেন, আদালতে তিনি ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে মিথ্যা বলেছেন, শুধু সাহিত্যের উপরে পুলিশের হস্তক্ষেপ সমর্থন করেন না বলে।
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Sarit Dutta
Sarit Dutta ধন্যবাদ দাদা। আসলে আমার খটকাটা লাগছিলো অন্য জায়গায়। আমাদের প্রজন্ম মলয় রায়চৌধুরীকে যেভাবে জানি তাতে এইরকম একটা মারাত্মক পত্রাঘাতের পরও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে ওনার সশ্রদ্ধ অবস্থান মানতে পারা কঠিন।
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Asoke Chakravarty
Asoke Chakravarty Uttam Datta : Thik oi kathaa Sunilda bolechhilen .. "Aami to naastik, dhrmagrantho chhun-ay ki bollam tatay ki-i baa esay gelo."
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Ranjan Roy
Ranjan Roy হাংরি আন্দোলন সম্পর্কে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অবস্থান বদলে বদলে গেছে ...
1. মলয় রায় চৌধুরীর প্রথম কাব্য " শয়তানের মুখ "(1964)এর প্রকাশক ছিলেন সুনীল ! যদিও সেখানে এই আন্দোলন নিয়ে তাঁর সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য ছিল না !
2. লিটিল ম্যাগাজিন গবেষক কমল গঙ্গোপাধ্যা
See more
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Sarit Dutta
Sarit Dutta আমি ঠিক এই দ্বান্দিকতার কথাটাই বলতে চাইছি
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Anita Majumder
Anita Majumder আমি শেয়ার করবোই এমন অজানা তথ্য.. প্লিজ।
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y
Manas Chakraborty
Manas Chakraborty কি লাভ এ সবে ! হাংরি , আধুনিক , পুনরাধুনিক ,প্রাচীন পন্থী ... আমার কাছে সাহিত্য কতটা আয়না হয়ে উঠলো সেটাই বিবেচ্য .. খুব কম কবিতা লিখেও সলিল চৌধুরী কেবল "শপথ" কবিতার স্রষ্টা বলে স্মরণীয় , দুর্ভিক্ষের দ্বারে বসে যদি কবি গোলাপের অনুবাদ শোনান তখন তাঁকে আর নিতে পারি না ... মানুষ খেতে পাচ্ছে না এর থেকে অশ্লীল কিছু হয় !
যে যেমন খুশি পরীক্ষা করুন পাঠক বুঝে নেবেই আসল সাহিত্য কে
Manage
LikeShow More Reactions
· Reply · 2y

No comments:

Post a Comment