Wednesday, August 22, 2018

শৈলেশ্বর ঘোষের ডিগবাজি এবং দুই মুখো সাহিত্যজীবন

মোহিত চট্টোপাধ্যায় কিছু প্রশ্ন রেখেছিলেন। সেখান থেকে কয়েকটি উদ্ধৃতি :-

শৈলেশ্বর ঘোষ লিখেছেন – 


“একথা ঠিক সে মুখোসধারী ফুঁসে উঠবে, প্ররোচিত করলে রিঅ্যাকট্‌ করবে – জীবনে সত্য বিন্দুর দিকে যেতে থাকলে যে সচেতনতায় আঘাত পড়ে তা সকলে সহ্য করতে পারে না যে পৃথিবীতে সুখ অতি সহজ, একটি মুখোসের দাম যেখানে একটি কানাকড়ির বেশি নয়, ন্যায়পরায়ণ ভণ্ডামী যেখানে সত্য হিসেবে মূল্য পায়, সেখানে যে অস্তিত্ব মূলত একা আলাদা, স্বাধীন হয়ে যাওয়া যার আকাঙ্ক্ষা, নিজের জীবনই যার মুক্তির পথ, শরীরই যার কেবলমাত্র কম্যুনিকেট করে তাকে পৃথিবী বরদাস্ত করতে রাজী নয়, রাজি নয় সমাজ, রাষ্ট্র – তাই প্রতিটি মানুষ যখন একা আলাদা হয়ে যেতে থাকে তখনই পৃথিবীর সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ শুরু হয় – তাকে ইতিহাস অপরাধী বলে ঘোষণা করে – ঘোরতর এই যুদ্ধের পারমাণবিক বিস্ফোরণই সাহিত্য এবং এখানে জীবন ও সাহিত্য এক – কোন তফাৎ থাকা মানেই কৃত্রিমতাকে মেনে নেওয়া – মানুষের ইতিহাসে অতঃপর এই যুদ্ধের ধারাবিবরণীই থেকে যাবে আর থাকবে প্রতিটির একক যোদ্ধার পরাজয় ও পতনের কাহিনী – ‘কল্যাণধর্ম’, ‘মূল্যবোধ’ শব্দগুলি কেবল বিচারকই উচ্চারণ করে যাবে – 


মোহিত চট্টোপাধ্যায় আমার ও আমার বন্ধুদের লেখা পড়েছেন এবং কিছু জানতে চেয়েছেন – উনি বিচারক নন, সাহিত্যিক ঈর্ষা, ব্যর্থতাদের থেকে উনি কিছু বলেননি – বললে তার কোন জবাব পেতেন না – যেমন কিছুদিন আগে, ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বাংরিজি সাহিত্যে ক্ষুধিত বংশ’ নামক ঈর্ষাকাতর ব্যক্তির নিজের ব্যর্থতাজনিত সাহিত্যিক কিচিরমিচির এর কোন উত্তর দেবার প্রয়োজন আমি বোধ করি না – মোহিত রানিং ডগস্‌ অব এস্টাব্লিশমেন্টের কেউ একজন নন – 


তিনি প্রশ্ন করেছেনঃ আমরা একধরণের কবিতা লিখছি, এটা শেষ পর্যন্ত বুর্জোয়া পদ্ধতিকেই স্বীকার করা। 


উত্তরে বললামঃ না, যা লিখছি আমরা কবিতা হিসেবে তা বুর্জোয়া মেনে নেয় না। ...” 

                                                    
    মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে বসে আছেন বুর্জোয়া শৈলেশ্বর ঘোষ                          

No comments:

Post a Comment