## হাংরি জেনারেশন নিয়ে আমার কিছু কথা ##
----- কৌশিক
" হাংরি জেনারেশন অফ লিটারেচার ইন বেঙ্গল " বিষয়টি নিয়ে একটু পড়াশোনা করতে গিয়ে বিখ্যাত কয়েক সাহিত্যিক ও কবিদের প্রতি আমার মনোভাব ১৮০ ডগ্রী ঘুরে গেলো।
তাদের মধ্যে অন্যতম হলেনঃ সুনীল গাঙ্গুলি এবং শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
যদিও ওনাদের লেখার ভক্ত আমি এখনও।
মলয় রায় চৌধুরিকে ( হংরি জেনারেশন যার মস্তিস্ক প্রসূত) লেখা সুনীল গাঙ্গুলীর এক চিঠি(১০ জুন ১৯৬৪ তে লেখা) পড়ে জানতে পারলাম যে উনি রীতিমতো ধমক সুরেই বলেছিলেন যে ওনার খুব কাছের কয়েকজন সেই আন্দোলনে জরিত ছিলেন বলে তিনি
সেই আন্দোলন কে শুরুতেই গুঁড়িতে দেন নি। তবে তিনি সে ক্ষমতা তখনো রাখতেন। তিনি হাংরি আন্দোলন কে " সাম্প্রতিক উন্মাদনা" হিসাবেও আখ্যায়িত করেছেন "Hungryalist hullabaloo– the latest fad"
হাংরি আন্দোলন এর অনেক সদস্য কে "obscenity in literature" aar "conspiracy against govt" এই দুই ভিত্তিতে জেলে ঢোকানো হয়।
"প্রচণ্ড বৈদুতিক ছুতার" পড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি এখনো আমার তবে আমি সুনীল গাঙ্গুলীর " দ্বারভাঙ্গার এক রমণী" পড়েছি, আর তাতে যা ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তাকে যদি "obscenity"র তকমা না দেওয়া হয়ে থাকে তবে আমার
"obscenity" ওয়ার্ডটির ইন্টারপ্রিটেশান নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মলয় রায়চৌধুরির দাদা সমীর রায়চৌধুরীর বন্ধু। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ " হে প্রেম হে নৈঃশব্দ" টি সমীর রায়চৌধুরির চাইবাসার(বর্তমানে ঝারখন্ড রাজের এক শহর) বাড়িতে থাকাকালীন লেখা।
আর মলয় রায়চৌধুরির লেখা পড়ে জানতে পারি এই কাব্যগ্রন্থটি ওনার দাদার শ্যালিকার প্রেমে পড়ে লেখা। তবে প্রসঙ্গ টা হলো এই শক্তি চোট্টোপাধ্যায় ছিলেন এই আন্দোলনের অন্যতম সদস্য,
তিনি ও বিনয় মজুমদার নিজের খরচায় বুলেটিন ও ছাপাতেন। তবে সব বদলে যেতে থাকে যখন থেকে
এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী ঘোষনা করা হয়। পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সমীর রায়চৌধুরি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর এই আন্দোলন থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে লিখেছেন --
" হাংরি আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ব্যক্তিগত নিরাপত্তাবোধের অভাব, প্রেমিকার অভিভাবক দ্বারা প্রত্যাখ্যান, চাকরির শর্ত, কলকাতার পুরোনো বন্ধুদের চাপ,প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতির মোহ
ইত্যাদি ক্রমশ হাংরি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী হয়ে থাকার প্রতি তার দৃষ্টিকোণ বদলে দিতে থাকে। অবাক হই হাংরি মামলায় শক্তির সরকারপক্ষে সাক্ষ্য দেবার সময়।
শক্তি আমাকে বা মলয়কে আগে থেকে জানায়নি যে ও সরকারী সাক্ষী হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে শক্তির মধ্যেও ব্যক্তিগত সংকোচ ছিল। কিন্তু এই সংকোচের চেয়ে বড়ো ছিল আর সব কারণগুলো।"
বিখ্যাত লেখক সুনীল গাঙ্গুলীর অন্তরঙ্গ বন্ধু সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় তিনিও স্ববিরোধী উক্তি করেছিলেন এই আন্দোলন কে নিয়ে।
১৯৭৪ সালে "while writing his own introduction in Adil Jussawala edited New Writing in India published by Penguin Books"
তিনি দাবি করেছেন যে তিনি এই আন্দোলন শুরু করবার এক অন্যতন সদস্য ছিলেন কিন্তু সে তিনিই ১৯৬৫ সালের ১৫ই মার্চ এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে পুলিসে সাক্ষ্য দেনঃ
"Although I am not directly connected with the Hungry Generation but I was interested in the literary movement.
Some of the manifesto of the Hungry Generation contains advertisements of my literary works.
In one of the publications my name was cited as publisher.
This was probably done with a motive to exploit my reputation as writer but since my prior consent was not taken I took exception।
As a poet myself I do not approve either the theme or the language
of the poem of Malay Roychoudhury captioned "Prachanda Boidyutik Chhutar(Stark Electric Jesus)"
I have severed all connection with Hungry Generation"
বিখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ পরে এই আন্দোলনের সমর্থন করলেও সেই টালমাটাল সময়ে এই আন্দোলনকে সমর্থন করেননি।
আমি মনে করি এই আন্দোলন কবিতা গঠনের আঙ্গিক ও আমাদের জিবনের দৈনন্দিন টানাপোড়েন ও শক্তিশালী ক্ষমতাশীল স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে কবিতাকে বিদ্রোহের নতুন হাতিহার করে তোলে
যা সেই সময়ে খুবই অভিনব ও আশ্চর্যচকিত সাহসী পদক্ষেপ ছিলো যা এখনো আমার মতো যুবকদের অনুপ্রাণিত করে ও করে যাবে।
----- কৌশিক
" হাংরি জেনারেশন অফ লিটারেচার ইন বেঙ্গল " বিষয়টি নিয়ে একটু পড়াশোনা করতে গিয়ে বিখ্যাত কয়েক সাহিত্যিক ও কবিদের প্রতি আমার মনোভাব ১৮০ ডগ্রী ঘুরে গেলো।
তাদের মধ্যে অন্যতম হলেনঃ সুনীল গাঙ্গুলি এবং শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
যদিও ওনাদের লেখার ভক্ত আমি এখনও।
মলয় রায় চৌধুরিকে ( হংরি জেনারেশন যার মস্তিস্ক প্রসূত) লেখা সুনীল গাঙ্গুলীর এক চিঠি(১০ জুন ১৯৬৪ তে লেখা) পড়ে জানতে পারলাম যে উনি রীতিমতো ধমক সুরেই বলেছিলেন যে ওনার খুব কাছের কয়েকজন সেই আন্দোলনে জরিত ছিলেন বলে তিনি
সেই আন্দোলন কে শুরুতেই গুঁড়িতে দেন নি। তবে তিনি সে ক্ষমতা তখনো রাখতেন। তিনি হাংরি আন্দোলন কে " সাম্প্রতিক উন্মাদনা" হিসাবেও আখ্যায়িত করেছেন "Hungryalist hullabaloo– the latest fad"
হাংরি আন্দোলন এর অনেক সদস্য কে "obscenity in literature" aar "conspiracy against govt" এই দুই ভিত্তিতে জেলে ঢোকানো হয়।
"প্রচণ্ড বৈদুতিক ছুতার" পড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি এখনো আমার তবে আমি সুনীল গাঙ্গুলীর " দ্বারভাঙ্গার এক রমণী" পড়েছি, আর তাতে যা ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তাকে যদি "obscenity"র তকমা না দেওয়া হয়ে থাকে তবে আমার
"obscenity" ওয়ার্ডটির ইন্টারপ্রিটেশান নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মলয় রায়চৌধুরির দাদা সমীর রায়চৌধুরীর বন্ধু। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ " হে প্রেম হে নৈঃশব্দ" টি সমীর রায়চৌধুরির চাইবাসার(বর্তমানে ঝারখন্ড রাজের এক শহর) বাড়িতে থাকাকালীন লেখা।
আর মলয় রায়চৌধুরির লেখা পড়ে জানতে পারি এই কাব্যগ্রন্থটি ওনার দাদার শ্যালিকার প্রেমে পড়ে লেখা। তবে প্রসঙ্গ টা হলো এই শক্তি চোট্টোপাধ্যায় ছিলেন এই আন্দোলনের অন্যতম সদস্য,
তিনি ও বিনয় মজুমদার নিজের খরচায় বুলেটিন ও ছাপাতেন। তবে সব বদলে যেতে থাকে যখন থেকে
এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী ঘোষনা করা হয়। পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সমীর রায়চৌধুরি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর এই আন্দোলন থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে লিখেছেন --
" হাংরি আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ব্যক্তিগত নিরাপত্তাবোধের অভাব, প্রেমিকার অভিভাবক দ্বারা প্রত্যাখ্যান, চাকরির শর্ত, কলকাতার পুরোনো বন্ধুদের চাপ,প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতির মোহ
ইত্যাদি ক্রমশ হাংরি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী হয়ে থাকার প্রতি তার দৃষ্টিকোণ বদলে দিতে থাকে। অবাক হই হাংরি মামলায় শক্তির সরকারপক্ষে সাক্ষ্য দেবার সময়।
শক্তি আমাকে বা মলয়কে আগে থেকে জানায়নি যে ও সরকারী সাক্ষী হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে শক্তির মধ্যেও ব্যক্তিগত সংকোচ ছিল। কিন্তু এই সংকোচের চেয়ে বড়ো ছিল আর সব কারণগুলো।"
বিখ্যাত লেখক সুনীল গাঙ্গুলীর অন্তরঙ্গ বন্ধু সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় তিনিও স্ববিরোধী উক্তি করেছিলেন এই আন্দোলন কে নিয়ে।
১৯৭৪ সালে "while writing his own introduction in Adil Jussawala edited New Writing in India published by Penguin Books"
তিনি দাবি করেছেন যে তিনি এই আন্দোলন শুরু করবার এক অন্যতন সদস্য ছিলেন কিন্তু সে তিনিই ১৯৬৫ সালের ১৫ই মার্চ এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে পুলিসে সাক্ষ্য দেনঃ
"Although I am not directly connected with the Hungry Generation but I was interested in the literary movement.
Some of the manifesto of the Hungry Generation contains advertisements of my literary works.
In one of the publications my name was cited as publisher.
This was probably done with a motive to exploit my reputation as writer but since my prior consent was not taken I took exception।
As a poet myself I do not approve either the theme or the language
of the poem of Malay Roychoudhury captioned "Prachanda Boidyutik Chhutar(Stark Electric Jesus)"
I have severed all connection with Hungry Generation"
বিখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ পরে এই আন্দোলনের সমর্থন করলেও সেই টালমাটাল সময়ে এই আন্দোলনকে সমর্থন করেননি।
আমি মনে করি এই আন্দোলন কবিতা গঠনের আঙ্গিক ও আমাদের জিবনের দৈনন্দিন টানাপোড়েন ও শক্তিশালী ক্ষমতাশীল স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে কবিতাকে বিদ্রোহের নতুন হাতিহার করে তোলে
যা সেই সময়ে খুবই অভিনব ও আশ্চর্যচকিত সাহসী পদক্ষেপ ছিলো যা এখনো আমার মতো যুবকদের অনুপ্রাণিত করে ও করে যাবে।
No comments:
Post a Comment